কোনো মেয়ে নার্ভাস বোধ করলে কী কী লক্ষণ দেখে তা বোঝা যায়?

আমি মামিয়া চৌধুরি (জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয়)
একবার,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক জন ছেলের সাথে আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়৷ তিনি আমাকে তার সাথে সাক্ষাৎ করার প্রস্তাব দেন৷ ফেসবুক পর্যন্ত বন্ধুত্ব ঠিক ছিল। আবার দেখাদেখির কি আছে! যাই হোক,তাকে নিরাশ করি নি৷ বলেছিলাম ঠিক আছে, দেখা করা যাবে।
বেশ কিছুদিন পর সেই সংকটকাল এলো৷ আমি গেলাম। তিনি খুব ভদ্র মানুষের মত রেস্টুরেন্ট এর সামনে বিনীত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমাকে দেখে মুচকি হাসি দিলেন,আমিও হাসলাম। কিন্তু এদিকে মনে মনে খুব অদ্ভুত অনুভব করছি৷ রেস্টুরেন্টের ভেতরে গেলাম। ঐ রেস্টুরেন্টের দুই ধরনের বসার সিট ছিল। এক ধরন হলো, ছোটো টেবিল চেয়ার, অন্য ধরন হলো বিশাল বড় বড় সোফা আর বিশাল টেবিল। তিনি আমাকে সেই বড় টেবিলের দিকে নিয়ে গেলেন। আমি মনে মনে খুব খুশি হলাম। টেবিলের এপারে আমি, ওপারে উনি, খুব ভালো দূরত্ব থাকবে। কিন্তু আমার খুশি ঠাকুরের সহ্য হলো না। ভদ্রলোক আমার পাশেই বসে পড়লেন। এটা আমার পছন্দ হলো না৷ কিন্তু সেটা একান্তই আমার সমস্যা৷ খেয়াল করলাম কপালে ঘাম জমা শুরু হয়ে গেছে৷
তিনি অনেক কথাই বলছিলেন,কিন্তু আমার মাথায় হাতি ঘোড়া কিছুই ঢোকেনি৷ কেমন একটা ঘোরে ছিলাম। মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেছিলো। সাথে বমি পাচ্ছিলো। হাত পা কাঁপছিলো৷ বাসা থেকে যা যা ভেবে গিয়েছিলাম,তার দশমিক এক পার্সেন্টও কথা বলতে পারিনি। তিনি খুব বুদ্ধিমান হওয়ায় বুঝতে পেরেছিলেন। আমাকে বললেন, তোমার কি কিছু হয়েছে? কোনো সমস্যা? আমি বললাম,আজকে উঠি৷ প্রথমে কিছুক্ষণ কাচুমাচু করলেও সেই বিনীত ভঙ্গিতেই আমাকে বিদায় দিলেন। তারপর বাসায় চলে এলাম৷
সেদিন বাসায় এসে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। শরীরে কোনো শক্তি পাচ্ছিলাম না। বুদ্ধি অসাড় হয়ে গেছিলো৷ নিজের এই পরিস্থিতিতে নিজেই অবাক হয়ে গেছিলাম। আমার বান্ধবীরা এই ঘটনা শুনে হাসিতে ফেটে পড়েছিলো৷ কিন্তু এটা মোটেও হাসির বিষয় নয়,এটা বিপদের বিষয়৷।
সিরিয়াস নার্ভাসনেস থেকেই এটা হয়েছিলো৷ এবং হয়তো ভবিষ্যতেও হবে। চেষ্টা করছি এর থেকে রেহাই পাওয়ার। নাহলে যে আমার কি হবে ‌‌!

Comments

Popular Posts

Social Justice Day of worldwide

বাংলাদেশ শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন, কিভাবে এই নামের সৃষ্টি ?

Examples of Non-Insurance Financial Transfers